রাজশাহী প্রতিনিধিঃ আর দুইদিন পরেই পূজা মন্ডপগুলোতে দুগোর্ৎসবে ঢাক ঢোলের বাজনা। আগামী ৬ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবম্বীদের উৎসব দূগার্পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আসন্ন অক্টোবর মাসের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব । এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা বানাতে শেষ মূর্হুতে ব্যস্ত সময় পার করছে চারঘাটের প্রতিমা শিল্পরা ।
চারঘাটের ১০ টি মন্দির ঘুরে দেখা যাই প্রতিমা শিল্পীদের ব্যাস্ততার চিত্র । এক সপ্তাহ আগে থেকে মন্ডপে শুরু হয়েছে মূর্তি নির্মাণের কাজ । শিল্পীদের অতি নিপুণ আচঢ়ে প্রতিমা গুলো প্রণবন্ত হয়ে উঠছে । কিশোর-কিমোরী, তরুন তরুনী আবাল বৃদ্ধ সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায় ঘওে ঘওে এখন আনন্দেও বন্যা বইছে। ইতিমধ্যে হিন্দুদেও বাড়ি বাড়ি নাড়– মুড়ি,
খৈ চিড়া আর নতুন জামা কাপড় তৈরীর ধুম পড়ে গেছে এবং হিন্দুদেও বাড়িতে জামাই মেয়ে নিয়ে আসার ধুমধাম শুরু হয়েছে। আর দুইদিন পরেই পূজা মন্ডপে গুলোতে ঢাক ঢোলের বাজনা আর উলুধ্বনিতে ভরে উঠবে। প্রতিমা শিল্পী বকুল কুমার দাস বলেন , এ বছর তিনি ৩৫ টি প্রতিমা নির্মাণের চুক্তি নিয়েছেন । প্রতিটি প্রতিমা নির্মাণে ১৬ থেকে ৪০ হাজার টাকা চুক্তি করেছেন । তার সাথে আরো ৪ জন কমর্ী প্রতিমা নির্মাণে কাজ করছেন ।
প্রতিমা শিল্পী বলেন, একটি একটি বড় মূর্তি নির্মাণে সময় লাগে ৭ থেকে ১০ দিন এবং ছোট প্রতিমা তৈরিতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ দিন । এখন মূর্তি তৈরির প্রাথমিক কাজ চলছে , রংয়ের কাজ শেষ হলেই নিদিষ্ট সময়ের আগে প্রতিমা মন্ডপে বসানো হবে । তালবাড়িয়া গ্রামের প্রতিমা শিল্পী বকুল কুমার দাস বলেন , তিনি ৫ টি প্রতিমা তৈরি করেছেন ।
প্রতিমা তৈরিতে মাটি ছাড়া , বাঁশ , খড় , পাঠ , ধানের কুড়া ,দড়ি , লোহা ,রং,বিভিন্ন্ রংয়ের সিট কাপড় প্রয়োজন হয় । সারা বছর বসে থাকার পর পূজার সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায় কিন্তুু বিভিন্ন ব্যায় বাড়লেও প্রতিমা নির্মাণের মজুরি বাড়েনি । রং তুলির কাজ শেষ হয়েছে এবং ১১ অক্টোবর রাত থেকে
থানে তোলার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব সূচনা হবে বলে জানান তিনি। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি শ্রী স্বপন কুমার কর্মকার বলেন , স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর উপজেলার ৪১টি মন্দিরে দুর্গা পূজা উদযাপিত হবে বলে জানান।